আজঃ শুক্রবার ৩১-১০-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

ওজন কমানোর বিপজ্জনক ওষুধে বাজার সয়লাব, বাড়ছে ঝুঁকি

  • আপডেটেড: বৃহস্পতিবার ০৯ Oct ২০২৫
  • / পঠিত : ৪৪ বার

ওজন কমানোর বিপজ্জনক ওষুধে বাজার সয়লাব, বাড়ছে ঝুঁকি

 যুক্তরাষ্ট্রে ডায়াবেটিস ও ওজন কমানোর জন্য জিএলপি-১ জাতীয় ওষুধের চাহিদা আকাশচুম্বী হওয়ায় বহু মানুষ ফার্মেসি এড়িয়ে অনিয়ন্ত্রিত বিক্রেতাদের দিকে ঝুঁকছে। মূলত ওষুধের চড়া দাম, বিমার সীমাবদ্ধতা এবং নিয়মিত সংকট এড়াতেই তারা এই বিপজ্জনক পথ বেছে নিচ্ছেন, যা জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।

মঙ্গলবার মার্কিন





খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) সতর্ক করে জানিয়েছে, ‘গ্রে-মার্কেট’ বা অনিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে আসা সেমাগ্লুটাইড বা টির্জেপাটাইডের মতো জিএলপি-১ ওষুধগুলোর সুরক্ষা, গুণমান বা কার্যকারিতা যাচাই করা হয় না। আইনি সরবরাহ ব্যবস্থার বাইরে থাকায় এসব অননুমোদিত ওষুধ নকল, দূষিত বা ভুলভাবে তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় এগুলো ‘কম্পাউন্ডেড সেমাগ্লুটাইড’ বা ‘শুধু গবেষণার জন্য’—এমন লেবেল দিয়ে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হয়, যেখানে কোনো নজরদারি থাকে না।

কলোরাডোর ভার্টা হেলথের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. ফ্র্যাঙ্ক ডুমন্ট জানান, অনিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে ওষুধ কেনার এই প্রবণতা মানুষের হতাশার প্রতিফলন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত প্রেসক্রিপশনের ওষুধ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু যখন সেই সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো কোনোভাবে পাশ কাটানো হয়, তখন এসব পণ্য ব্যবহারের চিকিৎসাগত ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।’ ড. ডুমন্টের মতে, এই অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ ব্যবহারের পেছনে মূল কারণ হলো এর কম দাম, সহজলভ্যতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো নানা ধরনের গুজব। তিনি আরও জানান, বৈধ প্রেসক্রিপশন পরিকল্পনার আওতায় না থাকলে এসব ওষুধের জন্য প্রতি মাসে ১,০০০ ডলারের বেশি খরচ হতে পারে।

এই সমস্যা মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও তৎপরতা বাড়িয়েছে। গত এপ্রিল মাসে এফডিএ এবং ওজেম্পিক ও উইগোভি ওষুধের প্রস্তুতকারক নভো নরডিস্ক জানায় যে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থায় নকল ওজেম্পিকের চালান ঢুকে পড়েছে। স্বাস্থ্য সংস্থাটির তথ্যমতে, কম্পাউন্ডেড সেমাগ্লুটাইড এবং টির্জেপাটাইড ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত মাত্রা, তীব্র বমিভাব, পানিশূন্যতা এবং অন্যান্য জটিলতাসহ শত শত প্রতিকূল ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

ক্রেতাদের জন্য ড. ডুমন্টের পরামর্শ স্পষ্ট—সর্বদা বৈধ চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখুন। তিনি বলেন, ‘বিকল্প বা কম্পাউন্ডেড সংস্করণের পরিবর্তে এফডিএ-অনুমোদিত ওষুধ ব্যবহার করুন। ইন্টারনেটে কিছু কেনার ক্ষেত্রে সন্দেহপ্রবণ হন। যদি কোনো প্রস্তাব বা দাম অবিশ্বাস্য মনে হয়, তবে সম্ভবত তা সত্যি নয়।’

জেপবাউন্ড ও মাউনজারো ওষুধের প্রস্তুতকারক এলি লিলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অবৈধভাবে তৈরি টির্জেপাটাইড রোগীদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা এসব নকল ওষুধের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি পেয়েছি। আরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর এই বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা উচিত।’


ট্যাগস :


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

Copyright © 2025. All right reserved OnlinePress24
Theme Developed BY Global Seba