- প্রথম পাতা
- অপরাধ
- অর্থনীতি
- আইন আদালত
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- ইসলামী বই
- উলামায়ে দেওবন্দ
- এক্সক্লুসিভ
- কৃষি
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- জেলা সংবাদ
- ঈশ্বরদী
- কক্সবাজার
- কিশোরগঞ্জ
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুষ্টিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খুলনা
- গাইবান্ধা
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- চট্টগ্রাম
- চাঁদপুর
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ
- চুয়াডাঙ্গা
- জয়পুরহাট
- জামালপুর
- ঝালকাঠি
- ঝিনাইদহ
- টাঙ্গাইল
- ঠাকুরগাঁও
- ঢাকা
- দিনাজপুর
- নওগাঁ
- নড়াইল
- নরসিংদী
- নাটোর
- নারায়ণগঞ্জ
- নীলফামারী
- নেত্রকোনা
- নোয়াখালী
- পঞ্চগড়
- পটুয়াখালী
- পাবনা
- পিরোজপুর
- ফরিদপুর
- ফেনী
- বগুড়া
- বরগুনা
- বরিশাল
- বাগেরহাট
- বান্দরবান
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভোলা
- ময়মনসিংহ
- মাগুরা
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- মেহেরপুর
- মৌলভীবাজার
- যশোর
- রংপুর
- রাঙ্গামাটি
- রাজবাড়ী
- রাজশাহী
- লক্ষ্মীপুর
- লালমনিরহাট
- শরীয়তপুর
- শেরপুর
- সাতক্ষীরা
- সাতক্ষীরা
- সিরাজগঞ্জ
- সিলেট
- সুনামগঞ্জ
- হবিগঞ্জ
- তথ্যপ্রযুক্তি
- ধর্ম
- নির্বাচন
- প্রবাস
- বাংলাদেশ
- বিনোদন
- ব্যবসা-বানিজ্য
- রাজনীতি
রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে
- আপডেটেড: শনিবার ২৫ Oct ২০২৫
- / পঠিত : ৩৪ বার

আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই’ দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা সংঘাত দেখা দিতে পারে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এই সংলাপের আয়োজন করে সুফি ধারার গবেষণা ও সংলাপভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’।
তিনি বলেন, সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে, এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আমি আশঙ্কা করছি, যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ এতে যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, আমি শুনেছি আওয়ামী লীগ এখন দরবারগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে, বোঝানোর চেষ্টা করছে যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে।
তিনি যোগ করে বলেন, এটা কোনো অন্তর্বর্তী সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলে আসছে। সরকার বদল হলে মসজিদ কমিটি বদলায়, ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদলায়, এই চক্র চলছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ হয়তো শেষ হয়েছে, কিন্তু সামাজিক ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে। দেশে ইসলামের যতগুলো ধারা আছে, তাদের মধ্যে সংলাপ ও সংযোগ না ঘটলে রাষ্ট্র বড় ঝুঁকির মধ্য দিয়ে এগোবে।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, দেশে ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ মুসলমানের মধ্যে নানা তরিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে সমন্বয় করার চিন্তা আজও রাজনৈতিক নেতারা করেননি। বরং কেউ কওমিদের, কেউ সুন্নিদের, কেউ সুফিদের ব্যবহার করেছেন রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে।
গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও সুফি ঘরানার মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়টি উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের ভোট ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আর সুফিরা তাদের সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু এখানেই ধর্মীয় রাজনীতিটা আটকে গেছে। কওমিরাও এর বাইরে নয়, তারাও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
মাহফুজ আলম বলেন, দেশের বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোরও এই প্রক্রিয়ায় সংযোগ রয়েছে। কেউ কেউ চায় মাজারগুলো ধ্বংস হোক। এখানে একধরনের আদর্শিক রাজনীতি কাজ করছে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় জনগোষ্ঠী লড়াই করবে বা সহিংসতা ঘটাবে, এই ভয় না পেয়ে, সংকটকে রাষ্ট্রীয় ও নীতিগত জায়গা থেকে দেখতে হবে। না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে। উপদেষ্টা বলেন, একটি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে যে এক বছরে কিছুই করা হয়নি। এই ক্ষোভ থেকে যদি পাল্টা আঘাতের চিন্তা করা হয়, তাহলে ভালো কিছু হবে না।
তিনি আরও বলেন, মাজারে হামলার পর বহু লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং এখন সমীক্ষা করে এসব মাজার সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাজার কর্তৃপক্ষকে মামলা করার আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ বলেন, এই সংস্কৃতি যদি টিকে যায়, তাহলে এক দলের ইসলাম অন্য দলের মসজিদ ভেঙে ফেলবে। আজ সুফিদের ওপর আছে, কাল কওমিদের ওপর আসবে। এটা চলতে পারে না।

নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন


















