আজঃ শুক্রবার ৩১-১০-২০২৫ ইং || খ্রিষ্টাব্দ

মানুষের চেয়ে হাজার গুণ বেশি ডেটা তৈরি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

  • আপডেটেড: বুধবার ২২ Oct ২০২৫
  • / পঠিত : ১৫ বার

মানুষের চেয়ে হাজার গুণ বেশি ডেটা তৈরি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের তুলনায় হাজার গুণ বেশি ডেটা বা তথ্য তৈরি করবে, যা আগামী বছরগুলোতে তথ্য সংরক্ষণে একটি মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘জিটেক্স গ্লোবাল’ সম্মেলনের এক ফাঁকে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পেন ড্রাইভের উদ্ভাবক দাতুক পুয়া খেইন-সেং।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের তুলনায় হাজার গুণ বেশি ডেটা বা তথ্য তৈরি করবে, যা আগামী বছরগুলোতে তথ্য সংরক্ষণে একটি মারাত্মক সংকট সৃষ্টি করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘জিটেক্স গ্লোবাল’ সম্মেলনের এক ফাঁকে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পেন ড্রাইভের উদ্ভাবক দাতুক পুয়া খেইন-সেং।

প্রতীকী ছবি

সিঙ্গেল-চিপ ইউএসবি মেমোরির নির্মাতা ও ফিলসন ইলেকট্রনিকসের প্রধান নির্বাহী দাতুক পুয়া খেইন-সেং জানান, তিনি ২০০১ সালে প্রথম সিঙ্গেল-চিপ চালিত ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ তৈরি করেন। ইউএসবি উৎপাদনের পর তিনি মেমোরি কার্ড তৈরিতে মনোযোগ দেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রের জন্য ‘ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমোরি’ আকারে স্টোরেজ বা তথ্য সংরক্ষণের সমাধান সরবরাহ করে। তিনি জানান, কম্পিউটার থেকে শুরু করে ক্যামেরা পর্যন্ত সবকিছুতেই এ ধরনের মেমোরি ব্যবহৃত হয়।

খেইন-সেং বলেন, বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তি ও সিস্টেমের জন্য বিশাল আকারের স্টোরেজ প্রয়োজন এবং অদূর ভবিষ্যতে ন্যান্ড স্টোরেজ প্রযুক্তির চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়বে। তিনি উল্লেখ করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে ব্যয়বহুল মনে করা হয়, কারণ এগুলো চালাতে অনেক গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) প্রয়োজন। কিন্তু আসল প্রতিবন্ধকতা হলো মেমোরি বা সীমিত ডি-র‍্যাম। তার মতে, ‘ফ্ল্যাশ মেমোরিই হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার প্রসারের একমাত্র সমাধান, কারণ মেমোরি সীমিত।’

তিনি জানান, বর্তমানে ৯৯ শতাংশ মানুষ ক্লাউড সিস্টেমের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এবং এই খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সবচেয়ে এগিয়ে আছে। অন্যান্য দেশের পক্ষে নতুন ক্লাউড এআই সমাধান তৈরি করার সক্ষমতা নেই, কারণ এর জন্য প্রচুর মূলধন, মানবসম্পদ, মেধা এবং জ্ঞান প্রয়োজন। খেইন-সেং বলেন, ‘বিশ্ব যদি শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের ক্লাউড এআই ব্যবহার করে, তবে এটি একটি সমস্যা।’

তিনি মনে করেন, প্রতিটি দেশই নিজেদের স্থানীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইবে, কিন্তু এর খরচ অনেক বেশি এবং দক্ষতার ব্যবধানও বিশাল। এর সমাধান হিসেবে তিনি ফ্ল্যাশ মেমোরি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পুরো অবকাঠামো তৈরির কথা বলেন, যা খরচ কমিয়ে আনবে। তুলনামূলক কম শক্তিশালী জিপিইউ ব্যবহার করা হলেও সেগুলো কাজ চালিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

খেইন-সেং জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হার্ডওয়্যারে এগিয়ে থাকলেও সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। তিনি আরও যোগ করেন, স্টোরেজ প্রযুক্তিতে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কোরিয়া এবং চীন। তাইওয়ান নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে স্টোরেজ সিস্টেম তৈরিতে পঞ্চম দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

ট্যাগস :


নিউজ কমেন্ট করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে লগইন করুন

Copyright © 2025. All right reserved OnlinePress24
Theme Developed BY Global Seba